খুব সহজেই আর্টিকেল র‍্যাঙ্কিং করানোর ১০টি উপায়

কেউ চাইলে খুব সহজেই কম বেশি তথ্য দিয়ে আর্টিকেল লিখতে পারে । আর্টিকেল লিখা সহজ হলেও এটাকে র‍্যাঙ্কিং করানো খুব সহজ না। কোন আর্টিকেলকে রাঙ্কিং করাতে হলে আর্টিকেল লেখার সময় বেশ কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয়। এই বিষয়গুলো জানতে নিচের পোস্টটি পড়ুন।
আর্টিকেলকের রেংক করানোর জন্য প্রথমত আপনার কিওয়ার্ড রিসার্চ দক্ষতা খুব ভালো হতে হবে। আরো বেশ কিছু রুলস আপনাকে ফলো করতে হবে সেগুলো বিষয়ে আমরা নিচে বিস্তারিত জানবো।

পেজ সূচিপত্রঃ

আর্টিকেলের জন্য সঠিক কীওয়ার্ড রিসার্চ 

খুব সহজে আর্টিকেল র‍্যাঙ্কিং করানোর জন্য কীওয়ার্ড রিসার্চ একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা চাইলে যেকোনো সময় যেকোন কীওয়ার্ড নিয়ে কনটেন্ট লিখতে পারি না। আগে আমাদেরকে বিভিন্ন কীওয়ার্ড নিয়ে রিসার্চ হবে। এখানে রিসার্চ বলতে বোঝানো হয়েছে এই কীওয়ার্ড নিয়ে কি রকম কতগুলো পোস্ট বা ব্লগ লিখা আছে। এই কি ওয়ার্ডের এবাউট রেজাল্ট কেমন আছে? গুগল ক্রমে এই কীওয়ার্ড নিয়ে চার্জ করলে যে যে ওয়েবসাইট গুলো আসে। তার মধ্যে বাংলাদেশ স্বীকৃত নিউজ পেপার ওয়েবসাইট কতগুলো আছে এগুলো সনাক্ত করে দেখা।

আমরা যদি এমন কীওয়ার্ড নিয়ে ব্লগ লিখে যে কীওয়ার্ড নিয়ে অলরেডি অনেকগুলো ব্লগ বিভিন্ন নিউজ পেপার ওয়েবসাইটে লেখা আছে । তাহলে আমাদের ব্লক খুব তাড়াতাড়ি র‍্যাঙ্ক করতে পারবে না। কারণ যখনই এই কীওয়ার্ড নিয়ে কেউ গুগলে চার্জ করবে তখন নিউজ পেপার ওয়েবসাইটের ব্লগ বা পোস্ট আগে শো করবে।এতে আমাদের নতুন ওয়েবসাইটের ব্লক শো করার তখন কোন সুযোগই থাকবে না।

কনটেন্টটিতে আকর্ষণীয় টাইটেল যুক্ত করা

আর্টিকেলকে খুব সহজেই র‍্যাঙ্কিং করানোর জন্য সঠিক টাইটেল যুক্ত করা ও একটি খুবই প্রয়োজনীয় বিষয়। টাইটেল যুক্ত করার সময় অবশ্যই টাইটেলকে আকর্ষণীয় করে উপস্থিত করতে হবে। যাতে টাইটেল দেখে পাঠক ব্লকটি পড়তে আগ্রহী হয় । টাইটেল কি অবশ্যই ৮-১০ অক্ষরের মধ্যে হতে হবে।

কোন পরামর্শ মূলক পোস্টে বা ব্লগে টাইটেল যুক্ত করার সময় টাইটেল এর মধ্য অবশ্যই গোপনীয়, কার্যকারী,১০ টি,১২টি ,২০ টি ইত্যাদি শব্দ যুক্ত করতে হবে। এসব শব্দ ব্লগের টাইটেলে যুক্ত করলে পাঠক পুরো পোস্টটি পড়তে আগ্রহী হয় এবং তাদের কাছে এই কনটেন্টটি আসলেই কার্যকারী বলে বিশ্বাস হয়।

আর্টিকেলে রঙিন ভূমিকা বাটন যুক্ত করা

খুব সহজে যে কোন নতুন ওয়েবসাইটের আর্টিকেল র‍্যাঙ্কিং করানোর জন্য পোস্টের টাইটেলের পর ভূমিকা বাটন অবশ্যই যুক্ত করতে হবে। আরে ভূমিকা বাটন এর মধ্য ৫ অক্ষরের লেখা থাকতে হবে। এবং এবং অবশ্যই রঙিন হতে হবে। 
ভূমিকা বাটন এর সাথে অন্য পোস্টের লিংক যুক্ত করে রাখতে হবে। যাতে পাঠক ভূমিকা বাটনের ওপর ক্লিক করলে লিঙ্ক করা পোস্টে ঢুকতে পারে। লিঙ্ক করা পোস্টটি অবশ্যই আপনার কনটেন্ট লেখা কীওয়ার্ডের সাথে রিলেটেড থাকতে হবে।

পোস্টের ভূমিকা লেখা

কনটেন্টের মধ্যে ভূমিকা লেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় খুব সহজেই আর্টিকেলকে র‍্যাঙ্কিং করানোর জন্য। ভূমিকায় আপনাকে কিওয়ার্ড সম্পর্কিত একটা পরিষ্কার ধারণা উপস্থাপন করতে হবে এবং আপনার পুরো কনটেন্টটি কি ব্যাপারে লেখা সেটা ব্যাখ্যা করতে হবে।
পাঠক আপনার ওয়েবসাইটে ঢুকে ফিচার ইমেজ দেখার পর সর্বপ্রথম যেটা পড়বে বা চেক করবে সেটা হলো আপনার পোস্ট সম্পর্কিত ভূমিকা। এজন্য আপনাকে অবশ্যই ভূমিকা পাঠকদের কাছে আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করতে হবে। যাতে ভূমিকা বেতন পড়ে পাঠক আপনার পুরোটা কনটেন্ট পড়তে উচ্ছুক হয়।


আর্টিকেলে ফিচার ইমেজ যুক্ত করা

আপনার কনটেন্ট টিকে আকর্ষণীয় করে পাঠকের কাছে প্রেজেন্ট করার জন্য ফিচার ইমেজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক পাঠকই ওয়েবসাইটের ভিতর ঢুকে কনটেন্ট পড়ার আগে কনটেন্টে থাকা ছবি বা ফিচার ইমেজ দেখে। যদি তার ফিচার ইমেজ পছন্দ হয় তাহলে সে ব্লকটি পরতে আগ্রহী হয়।আর যদি পছন্দ না হয় কনটেন্টটি না পড়েই অন্য ওয়েবসাইডে ঢুকে পড়ে।
 আপনি যে সম্পর্কে ব্লকটি লিখছেন বা যে কিওয়ার্ড ব্যবহার করছেন সে সম্পর্কিত ফিচার ইমেজ আপনাকে ব্লকটিতে যুক্ত করতে হবে। ফিচার ইমেজ  আপনার ব্লগটিকে আকর্ষণীয় করে তুলে। আপনার লেখা কন্টেনের ভেতরে ২-৩ টি ফিচার ইমেজ যুক্ত করতে হবে।

পোষ্ট সূচিপত্র তৈরি করা

কনটেন্ট এর মধ্য পোস্ট সূচিপত্র তৈরি করা একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার পাঠক পোস্ট সূচীপত্র দেখেই বুঝতে পারবে যে আপনার  লিখা ব্লকটি তার জন্য কতটা কার্যকারী এবং আপনার কনটেন্ট এর ভিতর কি কি বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া আছে। পোস্ট সূচিপত্র লেখার সময় অবশ্যই হেডিং লিংকগুলো কপি করে দিতে হবে।
 যাতে পোস্ট সূচিপত্র দেখে আপনার পাঠক তার পাট করার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শনাক্ত করে পড়তে পারে। কেউ যদি পুরো পোস্টটি পড়তে আগ্রহী না হয় বা তার কাছে সময় কম থাকে তাহলে পোস্ট সূচপত্র দেখে শুধু তার দরকারি অংশটুকু পড়তে পারবে। এতে আপনার ওয়েবসাইটটি তার কাছে একটা পছন্দনীয় ওয়েবসাইট হয়ে যেতে পারে।

 কনটেন্ট লেখায় হেডিং যুক্ত করা

খুব সহজেই আর্টিকেলকে র‍্যাঙ্কিং করানো এবং কনটেন্টটিকে পাঠকের পড়তে সুবিধা অনুযায়ী তৈরি করার জন্য আর্টিকেল লিখার সময় প্রত্যেক প্যারা উপরে হেডিং ব্যবহার করতে হবে। হেডিংটি অবশ্যই নিচে প্যারা যে সম্পর্কে লেখা থাকবে সেই সম্পর্কিত হতে হবে।
হেডিং অবশ্যই ৫-৮ অক্ষরের মধ্যে লিখতে হবে। হেডিং এর লেখা  নিচে প্যারার লেখাগুলো থেকে অবশ্যই বড় হতে হবে। প্রত্যেকটি হেডিং এর নিচে অবশ্যই ৫ লাইন এবং দুটি প্যারায় কনটেন্ট লিখতে হবে।


আরো পড়ুন সেকশন তৈরি করা                               

কনটেন্টের ভেতরে দু-তিন জায়গায় আরো করুন সেকশন তৈরি করতে হবে। আরো করুন পড়ুন হল আপনি যে কীওয়ার্ড নিয়ে পোস্টটি লিখছেন সেই কীওয়ার্ড সম্পর্কিত আরো পোস্টের লিংক আপনার কনটেন্টের ভিতর যুক্ত করা।
পাঠক আপনার কনটেন্টটি পড়ার সময় আরো করুন সেকশনে লিখে থাকা কনটেন্টের কীওয়ার্ড দেখে যদি প্রত্যেক আগ্রহী হয় বা সেসম্পর্কে জানার ইচ্ছা থাকে তাহলে সে সেই লিংকে ক্লিক করে সেই পোস্টটি পড়তে পারবে।

কনটেন্টটি কত বড় লেখা উচিত

কনটেন্ট লিখার সময় এতে কমপক্ষে ১০ টি হেডিং ব্যবহার করতে হবে। , প্রত্যেকটি হেডিং এর নিচে কমপক্ষে ২ প্যারা পোস্ট লিখতে হবে। প্রত্যেকটি প্যারায় সর্বোচ্চ পাঁচলাইন লেখা থাকতে হবে। প্রত্যেকটি প্যারায় সর্বনিম্ন ৩.৫ লাইন লেখা থাকতে হবে। কনটেন্ট এর ভিতর সর্বনিম্ন তিনটি আরো করুন সেকশন যুক্ত করতে হবে।
কন্টেনটিতে প্রায় তিন-চারটে কিওয়ার্ড সম্পর্কিত ফিচার ইমেজ যুক্ত করতে হবে। কনটেন্টটি সর্বনিম্ন ১৫০০ শব্দ দিয়ে তৈরি করতে হবে।

মন্তব্য

যে কোন কনটেন্টকে খুব তাড়াতাড়ি র‍্যাঙ্কিং করানোর জন্য উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা যদি এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে আর্টিকেল লিখেন তাহলে আপনার লেখা আর্টিকেলটি অবশ্যই র‍্যাঙ্ক করবে। যে কোন বিষয়কে লোকের কাছে তুলে ধরার জন্য তাকে ঠিক ভাবে সাজিয়ে উপস্থাপন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমি নিজেও একজন আর্টিকেল রাইটার। আমি উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো ফলো করে আর্টিকেল লিখে ওয়েবসাইটে অনেক সাড়া পেয়েছি। তাই আমার পরামর্শ থাকবে আপনিও বিষয়গুলো অনুসরণ করে আর্টিকেল লিখবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আনি টিপস ৩৬৫ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url