বিভিন্ন রোগের মহোঔষুধী হিসেবে অ্যালোভেরার ব্যবহার
বিভিন্ন রোগের মহোঔষুধী হিসেবে অ্যালোভেরার ব্যবহার করা হয়।অ্যালোভেরা ঔষধি গুনসম্পন্ন একটি ভেষজ উদ্ভিদ। এটা যেমন শরীরের জন্য উপকারী তেমনি চুল ও ত্বকের জন্যেও ভীষণ উপকারী। এলোভেরা অনেক জায়গায় ঘৃতকুমারী নামেও পরিচিত। আপনি যদি অ্যালোভেরা পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
অ্যালোভেরা এমন একটি উদ্ভিদ যা বিভিন্ন ঔষধি গুণে ভরপুর। যদি আপনার বাড়িতে একটি অ্যালোভেরা গাছ থাকে তাহলে আপনি বিনা টাকায় পেতে পারেন অনেক রোগ থেকে মুক্তি। অ্যালোভেরার ব্যবহারে হতে পারেন সুন্দর ত্বক ও চুলের অধিকারী।বিভিন্ন রোগের মহোঔষুধী হিসেবে অ্যালোভেরার ব্যবহার জানতে আজকের পুরো পোস্টটি পড়ুন।
পোস্ট সূচীপত্রঃবিভিন্ন রোগের মহোঔষুধী হিসেবে অ্যালোভেরার ব্যবহার
- বিভিন্ন রোগের মহোঔষুধী হিসেবে অ্যালোভেরার ব্যবহার
- অ্যালোভেরায় থাকা বিভিন্ন পুষ্টিগুণ
- ওজন কমাতে অ্যালোভেরার ব্যবহার
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অ্যালোভেরার উপকারিতা
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অ্যালোভেরা ব্যবহার
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরার ভূমিকা
- হজম শক্তি বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরার ভূমিকা
- ক্যান্সার প্রতিরোধে অ্যালোভেরার ভূমিকা
- ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে অ্যালোভেরার ভূমিকা
- রোগের মহোঔষুধী হিসেবে অ্যালোভেরা সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
বিভিন্ন রোগের মহোঔষুধী হিসেবে অ্যালোভেরার ব্যবহার
অ্যালোভেরা গাছের পাতায় থাকা রসই ঔষধি গুনসম্পন্ন। আর এই রসই ত্বক ও চুলের যত্নে এবং বিভিন্ন রোগের মহোঔষুধী হিসেবে অ্যালোভেরার ব্যবহার করা হয়। ওষুধ হিসাবে এলোভেরা পাতার রস শরবত বানিয়ে খাওয়া হয়।
ত্বক চুলের যত্নে অ্যালোভেরা রস ত্বকে এবং চুলে উপর লাগিয়ে রাখতে হয়। ওষুধ হিসেবে অ্যালোভেরা রস খাওয়ার পদ্ধতি এবং ত্বক চুলের যত্নে এলোভেরা রস ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি পরুন।
আরো পড়ুনঃপায়ের নখের কুনি দূর করার ৬টি কার্যকারী উপায়
অ্যালোভেরায় থাকা বিভিন্ন পুষ্টিগুণ
বিভিন্ন রোগের মহোঔষুধী হিসেবে অ্যালোভেরার ব্যবহার করা হয়।কারন অ্যালোভেরায় রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ, ভিটামিন ও খনিজ। অ্যালোভেরার শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় প্রায় ১৮ থেকে ২০ ধরনের অ্যামিনো এসিড রয়েছে। এছাড়াও অ্যালোভেরায় রয়েছে শরীরের জন্য উপকারী বিভিন্ন এসিড যেমন ফলিক এসিড,কোলিন, ফ্যাটি এসিড ইত্যাদি। অ্যালোভেরায় রয়েছে শরীরের জন্য খুবই দরকারি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
অ্যালোভেরায় রয়েছে অনেক রকমের খনিজ উপাদান। যেমন ক্যালসিয়াম, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, সোডিয়াম ,পটাশিয়াম,ম্যাঙ্গানিজ,ক্রোমিয়াম,আয়রন ইত্যাদি। এসব খনিজ উপাদান আমাদের শরীরের জন্য খুবই দরকারি। অ্যালোভেরায় রয়েছে ভিটামিন এ,ই,সি এবং ভিটামিন বি১, বি২, বি৩,বি৬,বি১২। যা আমাদের শরীরের বৃদ্ধি বিকাশ ও রোগ প্রতিরোধের জন্য অত্যাবশ্যকীয়।
ওজন কমাতে অ্যালোভেরার ব্যবহার
বিভিন্ন রোগের মহোঔষুধী হিসেবে অ্যালোভেরার ব্যবহার করা হয় ।ওজন কমাতে অ্যালোভেরা ভীষণ কার্যকরী। ওজন কমানোর জন্য অ্যালোভেরা পাতার রস দিয়ে শরবত বানিয়ে খেতে হয়।অ্যালোভেরা রসের সাথে চিয়া-চিট,মধু, বেল ইত্যাদি মিক্স করে শরবত বানিয়ে খেলে খুব তাড়াতাড়ি ওজন কমানো সম্ভব।
অ্যালোভেরা রস শরীরের পরিপাক ক্রিয়া বা বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধি করে ।ফলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায় এবং শরীরে জমে থাকা চর্বি গলে যায়। আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস খেতে পারেন।
আরো পড়ুনঃগর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চার গায়ের রং উজ্জ্বল হয়
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অ্যালোভেরার উপকারিতা
যেসব রোগের মহোঔষুধী হিসেবে অ্যালোভেরার ব্যবহার করা হয় তার মধ্য কোষ্ঠকাঠিন্য অন্যতম। আমাদের দেশের অনেক মানুষই কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভুগে। এইটা খুবই কষ্টদায়ক এই রোগ থেকে বাঁচতে অ্যালোভেরা খুবই কার্যকরী। অ্যালোভেরা পাতার রস রেচক বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ ফলে খাবার তাড়াতাড়ি ও সুষ্ঠুভাবে পরিপাক হয় ।যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অ্যালোভেরা ব্যবহার
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অ্যালোভেরা খুবই কার্যকরী। দেহে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে ডায়াবেটিস হয়। অ্যালোভেরার রস দেহে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগী হয়ে থাকেন তাহলে নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস খেতে পারেন। এতে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরার ভূমিকা
বিভিন্ন রোগের মহোঔষুধী হিসেবে অ্যালোভেরার ব্যবহার করা হয়।অ্যালোভেরায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস খেলে দেহে রোগ জীবাণু বাসা বাঁধতে পারেনা। শরীরকে সুস্থ রাখা যাই। শরীকে সুস্থ রাখার জন্য আপনি নিয়মিত এলোভেরা জুস খেতে পারেন।
হজম শক্তি বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরার ভূমিকা
অ্যালোভেরায় থাকা বিভিন্ন খনিজ উপাদান হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
অ্যালোভেরা জুস পরিপাক ক্রিয়াকে তুরান্বিত করে। এতে খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়।
এছাড়াও অ্যালোভেরা জুস নিয়মিত খেলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়। যেমন
গ্যাস্টিক,আলসার,পেট ব্যথা ইত্যাদি।
ক্যান্সার প্রতিরোধে অ্যালোভেরার ভূমিকা
আমরা জানি ক্যান্সার একটি মরণ ব্যাধি। পৃথিবীতে যে কয়েকটি বড় বড় রোগ আছে তার মধ্য ক্যান্সার অন্যতম। এই মরণঘাতী ক্যান্সার রোগের ঔষধি হিসেবেও অ্যালোভেরার ব্যবহার করা হয়। অ্যালোভেরায় রসে থাকা অ্যান্ট-নিওপ্লাস্টিন এজেন্ট যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ব্যাহত করে। অ্যালোভেরায় থাকা ইমোডিন স্তন ক্যান্সার লিভার ক্যান্সার কোষের বিস্তার প্রতিরোধ করে। তাই মরণব্যাধি ক্যান্সার রোগ থেকে বাঁচতে নিয়মিত অ্যালোভেরার রস সেবন করা খুবই কার্যকরী।
আরো পড়ুনঃখুব সহজেই কারেন্ট বিল নির্ণয় করার কার্যকারী পদ্ধতি
ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে অ্যালোভেরার ভূমিকা
বিভিন্ন রোগের মহোঔষুধী হিসেবে অ্যালোভেরার ব্যবহার করা হয়। এটি একটি পানীয় উপাদান । তাই অ্যালোভেরা জুস নিয়মিত সেবনে ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে।অ্যালোভেরা জুস ত্বককে মশ্চারাইজ করে এবং হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। শুষ্ক ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা খুবই উপকারী। আপনি যদিশুষ্ক ত্বকের অধিকারী হয়ে থাকেন তাহলে নিয়মিত এলোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। যে আপনার জন্য ভীষণ উপকারী।
রোগের মহোঔষুধী হিসেবে অ্যালোভেরা সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
আর্টিকেলটিতে বিভিন্ন রোগের মহোঔষুধী হিসেবে অ্যালোভেরার ব্যবহার ও গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এলোভেরা সত্যিই ভীষণ উপকারী ভেষজ উদ্ভিদ।অ্যালোভেরার গুণের কথা উপকারের কথা বলে শেষ হবে না।আপনারা নিয়মিত অ্যালোভেরা সেবন এবং শরীর,চুল,ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।এতে আপনাদের অনেক উপকার হবে।
বিভিন্ন রোগের মহোঔষুধী হিসেবে অ্যালোভেরার ব্যবহারের জন্য আমি নিজেও অ্যালোভেরা সেবন ও ব্যবহার করে থাকি। আমি মনে করি প্রত্যেক বাড়িতে দুই চারটি অ্যালোভেরা কাজ থাকা দরকার। অ্যালোভেরা গাছের হাওয়া ও ভীষণ উপকারী।
আনি টিপস ৩৬৫ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url